পিএসসির
সর্বশেষ কর্মকা- ও বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে নানা উদ্যোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের
সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। উদ্যোগের বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান ড.
মোহাম্মদ সাদিক ও সদস্যরা বলছেন, পিএসসিকে ডিজিটালাইজ করার সঙ্গে সঙ্গে
নানা উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। যার অনেকগুলো আগামী বিসিএসেই বাস্তবায়ন করা
সম্ভব হবে। অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। পরিকল্পনা আছে আরও নতুন নতুন বেশ
কিছুৃ সংস্কারের বিষয়। অধিকাংশ বিষয়েই কাজ চলছে। অভিযোগ আছে, প্রচলিত
দীর্ঘমেয়াদী পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ লাখো তরুণ-তরুণীর মূল্যবান সময় নষ্ট করছে।
তাই এ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে পরীক্ষা পদ্ধতি পাল্টানোর
প্রক্রিয়া শুরু করেছে পিএসসি। বিসিএস পরীক্ষার সংস্কারের খুঁটিনাটি বিষয়
নিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা একাধিক বৈঠক করেছেন। জনপ্রশাসনমন্ত্রী
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সবুজ
সংকেত পাওয়ার পরই এসব পরিবর্তন নিয়ে কাজ চলছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে,
বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি, নম্বর বণ্টন ও সিলেবাস নিয়ে বহুদিনের আপত্তি
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদসহ বিশেষজ্ঞদের। শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন সময় এসব বিষয় নিয়ে
আপত্তি তুলে বলেছেন, উন্নত দেশ তো বটেই এশিয়ার দেশগুলোর এ ধরনের পরীক্ষাও
অনেক আধুনিক। তাদের সিলেবাস, মানবণ্টন ও পরীক্ষা পদ্ধতি অনেক বেশি আধুনিক ও
শিক্ষাবান্ধব। যেখানেই প্রার্থীদের মধ্যে বৈষম্য প্রায় নেই বললেও চলে। অথচ
আমাদের বিসিএস পরীক্ষা নম্বর বণ্টন, সিলেবাস থেকে শুরু করে অধিকাংশ বিষয়ে
আছে সঙ্কট। আছে বৈষম্য। বহুবছর এসব বিষয়ে নিয়ে সমস্যা চললেও এতদিন তা
সমাধানের উদ্যোগে কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে এবার আশার আলো দেখাচ্ছে পিএসসি।
বিসিএসের
যে কোন পরীক্ষার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এক বছরের মধ্যে চূড়ান্ত ফল
প্রকাশ করতে উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক
বলছিলেন, প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। একজন প্রার্থীর
পক্ষে মাসের পর মাস ধরে পরীক্ষা দেয়া কষ্টকর। যে কারণে অনেক মেধাবীই
প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় অংশ নেন না। তবে প্রচলিত পদ্ধতি রাতারাতি
পাল্টে ফেলা যাবে না। ধীরে ধীরে সংস্কার করা হবে। তিনি বলেন, লিখিত
পরীক্ষার নম্বর কমালেও প্রার্থীদের মেধা ও যোগ্যতা যাচাইয়ে কোন ঘাটতি হবে
না। কারণ কম নম্বরের মধ্যেও মানসম্পন্ন প্রশ্ন করে প্রার্থীর মেধা ও
যোগ্যতা যাচাই করা সম্ভব।
কমিশন একটি সার্চ
ইঞ্জিনের উন্নয়ন করছে। যার মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে মেরিট ও কোটা
তালিকা পাওয়া যাচ্ছে। কমিশন আশা করছে, আগামীতে বর্তমান সময়ের চেয়ে কম সময়
ফল প্রকাশ করা যাবে। বর্তমানে ফল প্রকাশে সময় লাগে প্রায় দুই বছর।
চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সিদ্দিক আরও বলেন, আমরা সার্কুলার জারি করা থেকে
চূড়ান্ত ফল প্রকাশ পর্যন্ত সব কাজ এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার চেষ্টা
করছি। পিএসসি এখন একটি সার্চ ইঞ্জিনের উন্নয়ন করছে, যার মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত
সময়ে মেরিট ও কোটা নির্ধারণ সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যাচ্ছে।
বর্তমান
বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি তিন স্তরবিশিষ্ট। ২০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতির
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর হয় লিখিত পরীক্ষা। ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার পর
তৃতীয় স্তরে ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজী ও
বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে ২০০ করে ৬০০ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী, গাণিতিক যুক্তি
ও মানসিক দক্ষতা এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ১০০ করে মোট ৯০০
নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নিতে
পিএসসির এক মাসের বেশি সময় লেগে যায়। ৩৭তম বিসিএসের প্রার্থী ছিল দুই লাখ
৪৩ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে আট হাজার ৫২৩ জনকে বাছাই করা হয়েছে এক হাজার
২২৬টি পদের জন্য। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ
করতেই আট মাস সময় লেগেছে। এই দীর্ঘ সময় প্রার্থীদের পরীক্ষা নিয়েই ব্যস্ত
থাকতে হয়েছে। এরপর লিখিত পরীক্ষা তো আছেই। মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৩৭তম
বিসিএসের ফল প্রকাশের প্রত্যাশিত সময় হচ্ছে আগামী আগস্ট মাস।
৯০০
নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ৫০০ তে নামিয়ে আনার চিন্তা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে
বিসিএসের বিস্তৃত সিলেবাস কমিয়ে আনা হবে। বাংলার ওপর একক নির্ভরতা কমানোর
উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ১৯৯০ সালের পর থেকে বাংলার ওপর জোর দিতে গিয়ে প্রশাসনে
ইংরেজী জানা কর্মকর্তার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে বলে মনে করছেন
বিশেষজ্ঞরা। ইংরেজীর বিষয়ে কিভাবে সংস্কার আনা হবে তা নিয়ে কাজ করছে কমিশন।
তবে ইংরেজী মাধ্যম ও ইংরেজী ভার্সনে যারা পরীক্ষা দেবেন তাদেরকে সুবিধা
দেয়ার কথা চিন্তা করা হচ্ছে। এখন কেবল বাংলা প্রশ্ন থাকছে। উক্তরও লিখেতে
হয় বাংলাতেই। ফলে ইংরেজী ভার্সন ও ইংরেজী মাধ্যমে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীরা
প্রায় বঞ্চিতই হচ্ছে এ পরীক্ষা থেকে। পরীক্ষায় গেলেও ইংরেজী ভার্সনের
শিক্ষার্থীরা বাংলায় ভাল লিখতে না পাড়ায় পিছিয়ে পড়ছে। পরিকল্পনা চূড়ান্ত
করে আগামী ৩৮ বিসিএস থেকেই এ পদ্ধতির প্রয়োগ করার চিন্তা আছে বলে জানালেন
চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। তবে একই সঙ্গে বলেন, আমরা চিন্তা করছি বাই
ল্যাঙ্গুয়েল প্রশ্ন প্রণয়ন করার। এতে বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি ইংরেজী
ভাষাতেও প্রশ্ন থাকবে। তবে বিষয়টি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। এখনো দিনক্ষন
বলার সময় হয়নি। তবে এটা দরকার। এক সময় ছিল এ সুযোগ। এখন নেই।
পিএসসি
সূত্রে জানা যায়, সরকারের রাজস্ব ভা-ার সমৃদ্ধ করছে পিএসসি। কারণ একটা
বিসিএসে পিএসসির ফান্ডে জমা হয় প্রায় আট কোটি টাকা। সেখান থেকে মাত্র তিন
কোটি টাকা খরচ হয় সংশ্লিষ্ট বিসিএসের সব কার্যক্রম শেষ করতে। অবশিষ্ট পাঁচ
কোটি টাকা জমা হয় সরকারের কোষাগারে। এসব কারণে পিএসসি চাচ্ছে আরও কিছু টাকা
ব্যয় করে হলেও সার্বিক বিষয়ে একটা মান্নোয়নের জন্য। বিপুল সংখ্যক
প্রার্থীর পরীক্ষা নিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিতে হয়।
কিন্তু এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা পিএসসির বিসিএস পরীক্ষার বিষয়ে
আগ্রহ দেখান না। কারণ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা হলে দায়িত্ব পালন করে যে
পরিমাণ টাকা পাওয়া যায় পিএসসির পরীক্ষায় তার চেয়ে অনেক কম টাকা পাওয়া যায়।
একটা বোর্ডের পরীক্ষায় একদিনে দুই হাজার টাকাও আয় করা যায়। আর পিএসসির
পরীক্ষায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা পেতে পারেন।
একারণে পিএসসি পরীক্ষা গ্রহণ প্রক্রিয়ায়ও সংস্কার আনতে চায়।
বর্তমানে
পরীক্ষকদের খাতা দেখার জন্য খাতা তাদের বাসায় নিতে দেয়া হয়। এটা খুবই
ঝুঁকিপূর্ণ বলে বলা হয়েছে সব সময়েই। এ প্রক্রিয়ায় সময়ও প্রয়োজন হয় বেশি।
এতে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা দূর করার উপায় খুঁজে বের
করেছে পিএসসি। সংস্কারের অংশ হিসেবে খাতা আর পরীক্ষকের বাসায় পাঠানো হবে
না। পরীক্ষক পিএসসিতে বসে খাতা দেখবেন। তার যত রকমের সহায়তা দরকতার পিএসসি
তাকে দেবে। এতে করে সংশ্লিষ্টরা কম সময়ে অনেক বেশি খাতা দেখতে পারবেন। এর
ফলে কম সময়ে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাতা দেখার
জন্য পরীক্ষকদের অতিরিক্ত টাকা দেয়া হবে অর্থাৎ তাদের সম্মানী ভাতা বাড়িয়ে
দেয়া হবে। খাতা দেখার পদ্ধতিতেও সংস্কার করা হবে জানিয়ে এক সদস্য বলেন,
বর্তমান নিয়মে একজনে খাতা দেখেন। এতে ভুল হওয়ার অনেক বেশি সম্ভাবনা থাকে।
ভুল করার এই ঝুঁকি থেকে বের হয়ে আসার জন্য খাতা রি-চেক করা হবে। প্রতিটি
খাতাই রি-চেক করা বাধ্যতামূলক করা হবে। এতে আপাতত সময় বেশি লাগবে মনে হলেও
প্রকৃতপক্ষে সময় বেশি লাগবে না। কারণ খাতা দেখানো হবে পিএসসিতে।
তবে
এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন পিএসসির আর্থিক স্বাধীনতা।
এটি না থাকলে পরীক্ষার উন্নয়নে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা কঠিন বলে বলছেন
সকলেই। কারণ খাতা দেখার জন্য ভাল পরীক্ষক, বিশেষজ্ঞর থাকা খাওয়ার ভাল
সুবিধা দিতে না পারলে এ কাজে কেউ আসবেন না। অথচ পিএসসি এখন চাইলেই খাতা
মূল্যায়নের জন্য অর্থ বাড়াতে পারছে না।
তবে আশার
কথা সম্প্রতি জন প্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অর্থমন্ত্রী আবুল মাল
আবদুল মুহিতকে পিএসসিকে নির্বাচন কমিশনের মতো ব্যয় বিভাজনের আর্থিক
স্বাধীনতা দেয়ার অনুরোধ করেছেন। এক চিঠিতে তিনি বলেছেন, পাবলিক সার্ভিস
কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের আর একটি মাত্র কমিশন আছে তা হলো
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনকে ইতোমধ্যে বরাদ্দকৃত বাজেটের
মধ্যে ব্যয় বিভাজনের আর্থিক স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। এই স্বাধীনতা দিয়ে সরকার
যে প্রশংসার কাজটি করেছে তা একই ধরনের প্রতিষ্ঠান পাবলিক সার্ভিস কমিশনকেও
দেয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। শীঘ্রই এ বিষয়ে ইতিবাচক ঘোষণা আসছে বলে বলছে
মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো।
এদিকে শীঘ্রই বিসিএস
পরীক্ষায় ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর
রহমানকে নিয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন যোগ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে
আলোচনা হয়েছে সরকারের বিভিন্ন মহলে। বিষয়টি নিয়ে কাজও শুরু করেছে পিএসসি।
এক সদস্য বলেছেন, এ বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। নম্বর বণ্টনে যে পরিবর্তন আনার
কাজ চলছে সেখানেই এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ
বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক
বড় বড় আত্মত্যাগ ও ভূমিকা রয়েছে যা নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই জানতে হবে। যার
যে ভূমিকা রয়েছে তাকে সেইভাবেই আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের
ইতিহাস নতুন প্রজন্ম যাতে ভালভাবে জানতে পারে সেজন্য আগামীতে বিসিএস
পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন যাতে থাকে সে
প্রস্তাব করা হয়েছে। যাতে এটা সংযুক্ত করা হয় সেজন্যও আমরা প্রস্তাব করেছি।
এটা হলে নতুন প্রজন্ম ইতিহাসটা ভালভাবে জানতে পারবে।
পিএসসির
চেয়ারম্যান বিসিএসে নানা পরিবর্তন সম্পর্কে বলছিলেন, অনেক বিষয় আমাদের
পরিকল্পনায় আছে। আমরা চাই এ পরীক্ষায় থাকবে না কোন অসঙ্গতি। থাকবে না কোন
বৈষম্য। আমরা কাজ করছি। জানা গেছে, নম্বর বণ্টনের যে বৈষম্য আছে তারও
পরিবর্তন করা হচ্ছে। যাতে কোন বিষয়ের শিক্ষার্থী বিসিএসে এসে বাড়তি সুবিধা
না পায়। উদাহরণ দিতে গিয়ে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান
বলছিলেন, আমাদের প্রচলিত পরীক্ষা ও নম্বর বণ্টন পদ্ধতি নিয়ে কথা হচ্ছে অনেক
দিন ধরেই। কিছু বৈষম্য আছে বলে অভিযোগ উঠেছে সব সময়। কারণ দেখা যাচ্ছে কমন
কোন বিষয়ের পরীক্ষায় বেশ কিছু অঙ্ক আছে। ফলে এ পরীক্ষায় গণিতের
শিক্ষার্থীরা ভাল করে বেশি।
অন্যান্য বিষয়ের
শিক্ষার্থীরা বিশেষত কলা বা বাণিজ্য অনুষদগুলোর শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।
আবার দেখা গেল একটি বাংলা রচনা বা ইংরেজী সাহিত্য লেখার প্রশ্ন এল। দেখা
যায় বাংলা ও ইংরেজী সাহিত্যের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানের
শিক্ষার্থীরা খারাপ করছে। এখন এসব সমস্যার কিভাবে সমাধান করা যায়
চেয়ারম্যান স্যারের নেতৃত্বে তা নিয়ে কাজ করছি আমরা। এক প্রশ্নের জবাবে
তিনি বলেন, কিভাবে নম্বর বণ্টন ও সিলেবাসের বৈষম্য লাঘব করা যায় তা নিয়ে
চিন্তা ভাবনা করছি বলে জানান কমিশনের এ সদস্য।
এদিকে
বিসিএসের প্রাথমিক বাছাইয়ের (প্রিলিমিনারি) মতো লিখিত পরীক্ষার
প্রশ্নপত্রের সেটও ভিডিও কনফারেন্সে লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে ৩৭ বিসিএসের এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ঢাকার আটটি এবং ঢাকার
বাইরে ছয় বিভাগীয় শহরের ছয়টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা চলবে। এবার ৮ হাজার ৫২২
জন এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলছিলেন,
আগারগাঁও সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ে লটারির মাধ্যমে বিসিএসের প্রশ্নপত্র
ঠিক করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনার কিংবা জেলা
প্রশাসকসহ পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা এতে যুক্ত ছিলেন। সবার সামনে
লটারি হয়। একাধিক সেট থেকে আজকের পরীক্ষার জন্য নয়নতারা সেটটি নির্ধারণ করা
হয়।
ভিডিও কনফারেন্সের এই উদ্যোগ কেন? জানতে
চাইলে ড. সাদিক বলেন, স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য এবং পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত
ঢাকার বাইরের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। লটারির
আগে পিএসসি চেয়ারম্যান বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও
কনফারেন্সে মতবিনিময়ও করেন। লটারিতে প্রশ্নপত্র নির্ধারণের পর ভিডিও
কনফারেন্সের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হয়।
No comments:
Post a Comment