ইতিহাস দিন শেষে বিজয়ীকেই মনে রাখে। যেমন রেখেছে সেদিনের এক উইকেটের বিজয়ী পাকিস্তানকে; মনে রেখেছে ইনজামামকে। কিন্তু, পাঁচ সেপ্টেম্বর দিনের আলো ঘণিয়ে আসার সময় মূলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কিউরেটরের ‘ন্যাক্কারজনক’ কাণ্ডটা কেউ মনে রাখেনি।
২০০৩ সাল, মুলতান
টেস্ট। পাকিস্তানের মাটিতে সেবার ইনজামাম উল হকের ব্যাটিং-বীরত্বে বাংলাদেশ
হেরেছিল মাত্র এক উইকেটের ব্যবধানে। খালেদ মাহমুদ সুজনের চোখ মোছার সেই
দৃশ্য রীতিমত আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অংশ হতে গিয়েছে।
২৬০ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাঁচ সেপ্টেম্বর মাত্র ১৩২ রানের মধ্যে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। তৃতীয় দিন শেষে মাত্র চার উইকেট হাতে রেখে ১২৮ রান দরকার ছিল পাকিস্তান।
বাংলাদেশের উৎসবের মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল। বাঁধা ছিলেন কেবল ওই ইনজামাম। চতুর্থ দিন তার এক অনবদ্য সেঞ্চুরিতে স্বপ্ন চুরি হয় বাংলাদেশের।
উইকেটটাকে আরও ফ্ল্যাট আরও ব্যাটিং সহায়ক করার জন্য পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টের মদদে কয়েকদফা উইকেটে রোলার চালানো হয়। ইনজি’র ১৩৮ রানের ইনিংসটার কৃতীত্ব তাই পুরোপুরি তার নিজের না, কিছুটা কৃতীত্ব ওই কিউরেটর-টিম ম্যানেজমেন্টের ষড়যন্ত্রেরও বটে!
আজ থেকে ১৩ বছর আগে এমন একটা ঘটনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) কতটুকু কী করার সুযোগ ছিল সেই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। তবে, নি:সন্দেহে এবার আন্তর্জাতিক লবিগুলোকে (যদিও আদৌ কিছু থেকে থাকে) কাজে লাগানোর সুযোগ এসে গেছে বাংলাদেশের।
ওয়েলিংটন টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে বেআইনীভাবে উইকেটে পানি দিয়েছিলেন বেসিন রিজার্ভের কিউরেটর। মূল উইকেটের পাশের উইকেটে পানি দেওয়া হয়েছে, আর ঘটনাটা ঘটেছে স্বাগতিক কোচ মাইক হেসনের নির্দেশে। কারণ, ঘটনাটা ঘটার মিনিট পাঁচেক আগেও তাকে কিউরেটরের সাথে কথা বলতে দেখা যায়।
যে উইকেটে খেলা হচ্ছে তার পাশের উইকেটে পানি দেওয়াও বেআইনী। প্রতিটি ম্যাচ শুরুর আগেই নিয়মমাফিক ম্যাচ রেফারি এই কথাটা মনে করিয়ে দেন। কারণ, তাতে মূল উইকেট অতিরিক্ত পানি শুষে নিতে পারে। আর এটা ফাস্ট বোলারদের জন্য আরও বেশি কার্যকর হয়। তখন এটা উইকেটের জন্য অনেকটা ‘মাদক’-এর মত কাজ করে। অস্বাভাবিক গতি, মাত্রাতিরিক্ত সুইং পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ওই উইকেটে।
বলছি না, উইকেটে পানি না দিলেই আমরা জিতে যেতাম। উইকেটে পানি না দিলে পঞ্চমদিন অন্তত দুটো সেশন পুরো আমাদের ব্যাটসম্যানরা সার্ভাইভ করতেন। অন্তত ২০০-২৫০ রান জমা হত বোর্ডে। এক সেশনে ব্ল্যাক ক্যাপ ব্যাটসম্যানদের সামনে ৩০০ রানের মত একটা টার্গেট থাকতো। মোট কথা, এত অর্জনের টেস্ট ম্যাচটা আমাদের এমন কালো মুখে শেষ করতে হত না!
২৬০ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাঁচ সেপ্টেম্বর মাত্র ১৩২ রানের মধ্যে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। তৃতীয় দিন শেষে মাত্র চার উইকেট হাতে রেখে ১২৮ রান দরকার ছিল পাকিস্তান।
বাংলাদেশের উৎসবের মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল। বাঁধা ছিলেন কেবল ওই ইনজামাম। চতুর্থ দিন তার এক অনবদ্য সেঞ্চুরিতে স্বপ্ন চুরি হয় বাংলাদেশের।
ইতিহাস দিন শেষে বিজয়ীকেই মনে রাখে। যেমন রেখেছে সেদিনের এক উইকেটের বিজয়ী পাকিস্তানকে; মনে রেখেছে ইনজামামকে। কিন্তু, পাঁচ সেপ্টেম্বর দিনের আলো ঘণিয়ে আসার সময় মূলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কিউরেটরের ‘ন্যাক্কারজনক’ কাণ্ডটা কেউ মনে রাখেনি।এই ষড়যন্ত্রের শেষ কোথায়!
উইকেটটাকে আরও ফ্ল্যাট আরও ব্যাটিং সহায়ক করার জন্য পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টের মদদে কয়েকদফা উইকেটে রোলার চালানো হয়। ইনজি’র ১৩৮ রানের ইনিংসটার কৃতীত্ব তাই পুরোপুরি তার নিজের না, কিছুটা কৃতীত্ব ওই কিউরেটর-টিম ম্যানেজমেন্টের ষড়যন্ত্রেরও বটে!
আজ থেকে ১৩ বছর আগে এমন একটা ঘটনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) কতটুকু কী করার সুযোগ ছিল সেই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। তবে, নি:সন্দেহে এবার আন্তর্জাতিক লবিগুলোকে (যদিও আদৌ কিছু থেকে থাকে) কাজে লাগানোর সুযোগ এসে গেছে বাংলাদেশের।
ওয়েলিংটন টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে বেআইনীভাবে উইকেটে পানি দিয়েছিলেন বেসিন রিজার্ভের কিউরেটর। মূল উইকেটের পাশের উইকেটে পানি দেওয়া হয়েছে, আর ঘটনাটা ঘটেছে স্বাগতিক কোচ মাইক হেসনের নির্দেশে। কারণ, ঘটনাটা ঘটার মিনিট পাঁচেক আগেও তাকে কিউরেটরের সাথে কথা বলতে দেখা যায়।
মজার ব্যাপার হল, ওই স্টেডিয়ামের রিজার্ভ আম্পায়ারের সামনেই ঘটনাটা ঘটেছে। অথচ, তিনি ছিলেন নির্বাক। ভাগ্য ভাল যে, পুরো ব্যাপারটার ভিডিওচিত্র নিজের মোবাইলে ধারণ করে রেখেছিলেন আমাদের কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে।সেদিন সন্ধ্যাতেই ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথের কাছে নালিশ গেলে তিনি ‘কাজটা ঠিক হয়নি’ বলে দায়মুক্ত হয়েছেন। পরদিন সকালে ওই রিজার্ভ আম্পায়ার হাতুরুসিংহেকে ‘স্যরি’ বলে গেছেন।
যে উইকেটে খেলা হচ্ছে তার পাশের উইকেটে পানি দেওয়াও বেআইনী। প্রতিটি ম্যাচ শুরুর আগেই নিয়মমাফিক ম্যাচ রেফারি এই কথাটা মনে করিয়ে দেন। কারণ, তাতে মূল উইকেট অতিরিক্ত পানি শুষে নিতে পারে। আর এটা ফাস্ট বোলারদের জন্য আরও বেশি কার্যকর হয়। তখন এটা উইকেটের জন্য অনেকটা ‘মাদক’-এর মত কাজ করে। অস্বাভাবিক গতি, মাত্রাতিরিক্ত সুইং পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ওই উইকেটে।
বলছি না, উইকেটে পানি না দিলেই আমরা জিতে যেতাম। উইকেটে পানি না দিলে পঞ্চমদিন অন্তত দুটো সেশন পুরো আমাদের ব্যাটসম্যানরা সার্ভাইভ করতেন। অন্তত ২০০-২৫০ রান জমা হত বোর্ডে। এক সেশনে ব্ল্যাক ক্যাপ ব্যাটসম্যানদের সামনে ৩০০ রানের মত একটা টার্গেট থাকতো। মোট কথা, এত অর্জনের টেস্ট ম্যাচটা আমাদের এমন কালো মুখে শেষ করতে হত না!
এমন ঘটনাকে তাই মানবিক ভুল বলে রেহাই পেয়ে যাওয়াটা রীতিমত অন্যায় আবদার। এসব ঘটনায় আইসিসির নির্দেশ অনুযায়ীই শাস্তির বিধান আছে। তবে, সেটা নির্ভর করছে বিসিবির অভিযোগের ওপর। জানা মতে, বিসিবির পক্ষ থেকে এখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।আদৌ কী কোনো পদক্ষেপ নেবে বিসিবি? নাকি বরাবরের মত আরেকটা ষড়যন্ত্র আমরা মুখ বুজে মেনে নিবো? ‘স্যরি’ বলে রেহাই পেয়ে যাওয়ার দিনটা এবার অন্তত শেষ হওয়া উচিৎ!
No comments:
Post a Comment