খাদ্য অধিদপ্তরের ২২০০ পরিদর্শক নিয়োগের বিষয়ে
খাদ্য অধিদপ্তরের ২২০০ পরিদর্শক নিয়োগের বিষয়ে
অবশ্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মোহা. ইফতেখার জানিয়েছেন, তারা জনবল নিয়োগ দেবেন না। তারা মূলত খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ সংক্রান্ত পুরো প্রক্রিয়াকে সমন্বয় করবেন। এ জন্য যেসব জনবল রয়েছেন, তাদেরকে যথাযথ কাজে লাগাবেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন যে ২ হাজার ২০০ প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে তাদেরকে কাজে লাগাতে পারবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধের কাজ বরাবরই করতেন মাঠ পর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন স্যানিটারি ইন্সপেক্টররা। বর্তমানে সারাদেশে ফুড সেফটির কাজে কর্মরত আছেন ৫৫৬ জন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর। এছাড়া আরও প্রায় ২ হাজার ২০০ স্বাস্থ্য সহকারী ইতোমধ্যে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হিসেবে চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেছেন।
এরা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হিসেবে পদায়নের অপেক্ষায় আছেন গত তিন বছর ধরে। ‘স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ এর সাবেক সভাপতি খসরু মিয়া চৌধুরী জানিয়েছেন, বর্তমানে যে ৫৬৫ জন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কর্মরত আছেন তাদের মধ্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক জেলায় দুইজন করে ১২৮ জনকে তাদের অধীনে নিয়োগ দিয়েছে। বাকিদেরকেও তাদের অধীনে নিয়ে নেবে। খসরু চৌধুরী জানান, আইনি জটিলতার কারণে ফুড সেফটির উপর ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করা প্রশিক্ষিত প্রায় ২ হাজার ২০০ জনবলকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নিতে চাচ্ছে না।
অন্যদিকে ফুড সেফটির উপর যে প্রশিক্ষিত জনবল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে তাদের ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উদাসীন। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান উজ্জল বলছেন, প্রশিক্ষিত জনবলকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিতে কোনো সমস্যা নেই বলে তাদেরকে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মোহা. ইফতেখার। সেক্ষেত্রে তাদের বিষয়ে জোরালোভাবে বলতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রহস্যজনক কারণে তাদের কথা বলছে না।
এদিকে গত ৬ বছর ধরে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলন করে আসছে তাদের চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্সকে বিএসসি সমমান করার জন্য। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এতোদিন ধরে এ বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও শেষ পর্যন্ত এই স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে। কিন্তু তাতে খুব লাভ হচ্ছে না ফুড সেফটির উপর ডিপ্লোমা কোর্স করা প্রশিক্ষিত জনবলের। কারণ ডিপ্লোমা কোর্সকে বিএসসি সমমানের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে নতুনদের ক্ষেত্রে। মুজিবুর রহমান উজ্জল জানান, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চিকিৎসা অনুষদ থেকে চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করলেও আগে এটির সনদের মান নির্ধারণ করেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ফলে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সদয় হলেই প্রশিক্ষিত জনবলকে কাজে লাগাবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
Download this
No comments:
Post a Comment